একদিন চলে যাবো
আয়শা সাথী
-——————
একদিন চলে যাব শরৎ বাবুর ‘দেবদাস’ এর মতো;
রবি ঠাকুরের ‘কৃষ্ণকলি’কে ছেড়ে
জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি নদীটি রেখে।
আমি চলে যাবো
ইমতিয়াজ মাহমুদের গাঢ় অভিমান বুক পকেটে নিয়ে
জসিমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতার মাটির দিকে,
যে ঘরে অনায়সেই প্রবেশাধিকার পাবে
হুমায়ূনের ‘কুটু মিয়ার’ কবরের মতো বৃষ্টি-জল।
সেদিন রুদ্রের আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখার জন্য
রেখে যাব না একটি শব্দও,
আবেগী কন্ঠে ডাকবো না আর বনলতা সেন।
মানিক বাবুর কুবের মাঝি
সেদিন বাঁধনছেড়া হবে তোমাকে রেখেই।
সুনীলের একশ আটটা নীলপদ্মের বদলে
তোমার তরে রেখে যাব হেলাল হাফিজের দুঃখ,
শামসুর রহমানের ‘হৃদয় নিসঙ্গ চিল’র মতো
তোমাকেও উপহার দেব এক আকাশ নিসঙ্গতা।
‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ ভেঙে
জহিরের ‘টুনি’র মতো হাজার বছর ধরে
তোমার অন্ত্রে-তন্ত্রে বাজাবো বিষের বাঁশি।
খোপায় দেয়া নজরুলের তারার ফুল ছিনিয়ে
‘অনামিকা’র কন্ঠে জড়িয়ে দেব নীল রোদন।
সেদিন সাদাত হোসেনের ‘কাজল চোখের মেয়ে’র মনে
হয়তো জমবে রবি’র ‘অনন্তপ্রেম’,
তবু মহাদেব সাহার ন্যায় সেদিন আর বলবো না
” করুনা করে হলেও চিঠি দিও “।